ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ১৫/১০/২০২৪ ১০:২৪ এএম

য়াবা টেবলেট পাচারের মামলায় এক রোহিঙ্গাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া, একই মামলায় আরেক আসামীকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও একইসাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে। 

কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ মোশারফ হোসেন এ রায় প্রদান করেন। একই আদালতের বেঞ্চ সহকারী প্রনব কান্তি দাশ ল’ইয়ার্স ক্লাব বাংলাদেশ ডটকমকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার থাইংখালী রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের কালা মিয়া ও দিলদার বেগমের পুত্র মোঃ আয়াত উল্লাহ। একই মামলায় ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত আসামী হলেন-উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরনার্থী ক্যাম্পের আবদুল হক ও সামজিদা বেগমের পুত্র শহিদুল মোস্তফা। দন্ডিত আসামীরা পলাতক রয়েছে। রাষ্ট্র পক্ষে অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট শওকত বেলাল মামলাটি পরিচালনা করেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ:
২০২১ সালের ২০ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬ টার দিকে কক্সবাজারের টেকনাফের মনিরঘোনা ইসলামিয়া মাদ্রাসার গেইটের সামনে আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি টিম এক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গা মোঃ আয়াত উল্লাহ ও রোহিঙ্গা শহিদুল মোস্তফাকে আটক করে। পরে রোহিঙ্গা মোঃ আয়াত উল্লাহ’র কাছ থেকে ৬ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট এবং রোহিঙ্গা শহিদুল মোস্তফার কাছ থেকে ৪ হাজার পিচ ইয়াবা টেবলেট উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় রোহিঙ্গা মোঃ আয়াত উল্লাহ ও রোহিঙ্গা শহিদুল মোস্তফাকে আসামী করে টেকনাফ থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার টেকনাফ থানা মামলা নম্বর : ৭৫, তারিখ : ২১/১০/২০২১ ইংরেজি, জিআর মামলা নম্বর : ৯২৯/২০২১ ইংরেজি (টেকনাফ) এবং এসটি নম্বর : ২১৯/২০২৩ ইংরেজি।
বিচার ও রায় :
কক্সজবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ মোশারফ হোসেন এর আদালতে মামলাটির সাক্ষ্য গ্রহণ, আসামী পক্ষে তাদের জেরা, আলামত প্রদর্শন, রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল পর্যালোচনা, আসামীদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ, যুক্তিতর্ক সহ মামলার সকল বিচারিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে মামলাটি বিচারের জন্য দিন ধার্য্য করা হয়।

ধার্য্য দিনে কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মোঃ মোশারফ হোসেন ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (১) সারণির ১০ (গ) ধারায় আসামী রোহিঙ্গা মোঃ আয়াত উল্লাহ কে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ড, একইসাথে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড এবং অপর আসামী শহিদুল মোস্তফাকে ৫ বছর সশ্রম কারাদন্ড ও একইসাথে ২০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অর্থদন্ড অনাদায়ে আরো ৬ মাস সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন।

পাঠকের মতামত

সেনাবাহিনীতে বড় রদবদল, ডিজিএফআইয়ের নতুন ডিজি জাহাঙ্গীর আলম

সেনাবাহিনীর উচ্চপর্যায়ে বড় ধরনের রদবদল হয়েছে। মেজর জেনারেল পদমর্যাদার দুই কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে লেফটেন্যান্ট জেনারেল ...